, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী

  • আপলোড সময় : ০৯-০৫-২০২৩ ০৯:৪২:৪৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৫-২০২৩ ০৯:৪২:৪৪ অপরাহ্ন
আইইউবিএটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী
আগামীকাল  (১০ মে)  দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের  পথিকৃৎ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. আলিমউল্যা মিয়ান এর  ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী।

অধ্যাপক ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ সালে কুমিল্লা জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন এবং ২০১৭ সালের ১০ মে ইন্তেকাল করেন। পারিবারিকভাবে অধ্যাপক মিয়ান একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং মরহুম বীর প্রতীক কর্ণেল সফিক উল্যার ছোট ভাই। তিনি ১৯৯১ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে  আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন।

শিক্ষা জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অনার্স ও ১৯৬৩ সালে মাস্টার্স শেষ করেন। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৬৮ সালে এমবিএ এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার স্কুল অব বিজনেস থেকে ১৯৭৬ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।

জ্ঞানগর্ভ ব্যক্তিত্ব ও বিভিন্ন শিক্ষামূলক পেশার অধিকারী ড. মিয়ান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালক ও অধ্যাপক এবং সেন্টার ফর পপুলেশন ম্যানেজমেন্ট এন্ড রিসার্চ (সিপিএমআর) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন।

অধ্যাপক মিয়ান ১৯৬৩ সালে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করে ১৯৬৪ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ও আইবিএ’র পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োজিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও গ্রেট ব্রিটেনে পড়াশুনা ও নাইজেরিয়াতে ১৯৮১ সালে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসাবে আহমাদু বালু বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কাজ করেন। শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসাবে এবং প্রিয় মাতৃভুমির উৎকর্ষ সাধনের প্রচেষ্টায় তিনি বিশ্বের প্রায় ৪০টির মত দেশ ভ্রমণ করেন।

অধ্যাপক ড. মিয়ান ১৯৮০র দশকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পরিকল্পনা শুরু করেন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উপর কার্যপত্রে প্রণয়ন করেন।

মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে  রয়েছে ড. মিয়ানের জীবন ও অবদান নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা ও স্মৃতিচারন, দোয়া মাহফিল ও অনলাইন ওয়েবিনার।

 এছাড়াও ড. মিয়ানের বর্ণাঢ্য জীবনের উপর রচনা প্রতিযোগিতা, স্বরণিকা প্রকাশ, সেমিনার সহ মাসব্যাপি নানা আয়োজন চলবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।